রাজনৈতিক, ধর্মীয়, শিক্ষা, ক্রীড়া, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ও মানবিক অনুষ্ঠান প্রচার মাধ্যম।

আন্তর্জাতিক গেইমে ভয়েজ দিলেন-ইরফান রহমান
রিপোর্টার তারেক আহমেদ শুধু গলা নয়—একটি চরিত্রের মন, আবেগ আর আত্মাও ধারণ করেন তিনি। ভয়েজ দিয়ে শুরু, আজ অভিনয়ের এক ব্যতিক্রমী শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তরুণ ইরফান রহমান। গেমারদের কাছে যিনি পরিচিত গ্লোবাল ব্যাটল রয়্যাল গেম Garena Free Fire-এর জনপ্রিয় চরিত্র Maxim-এর কণ্ঠ হিসেবে। তবে এই জায়গায় পৌঁছানোর গল্পটা রঙিন ছিল না ছিল আত্মঅন্বেষণ, সাধনা আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শিল্পীকে আবিষ্কারের এক নিরব যুদ্ধ। ইরফান রহমানের ভয়েস জার্নির শুরু শৈশবেই। টেলিভিশনের সামনে দাঁড়িয়ে কার্টুন চরিত্র বা সিনেমার ডায়লগ অনুকরণ করতেন, কখনো পশুপাখির মিমিক্রি। অন্য অনেক পরিবার হয়তো এটিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিত, কিন্তু ইরফানের পরিবার তাঁকে সাহস দিয়েছিল। এভাবেই গড়ে উঠেছিল কণ্ঠ-ভিত্তিক আত্মবিশ্বাস। ২০২২ সালের শেষভাগে, লকডাউনের নীরব সময়েই ইরফান নিজের প্রতিভাকে বুঝতে শেখেন। ভয়েজ মিমিক্রি তখন আর শুধু শখের জায়গায় থাকে না—পেশাদার ভয়েস ওভার শিল্পী হওয়ার দিকেই এগিয়ে যান তিনি। তার কণ্ঠে প্রাণ পায় Ignis, Oscar সহ Free Fire-এর আরও কয়েকটি চরিত্র। ইরফান বলেন, “একেকটা কণ্ঠে আমি একেকটা চরিত্র হয়ে যাই এটা শুধু কাজ না, এটা আমার ভালোবাসা, আমার সাধনা।” তার ভয়েস এখন শোনা যায় মোবাইল গেম, ইউটিউব কনটেন্ট, অডিও নাটক, এবং শিশুদের জন্য নির্মিত অ্যানিমেটেড ভিডিওতেও। ভবিষ্যতে কেবল ভয়েস নয়, চোখেমুখে, অভিব্যক্তিতে, শরীরভাষায়ও চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে চান তিনি। বড় পর্দায় অভিনয়ের স্বপ্ন দেখছেন এই তরুণ, যিনি এরই মধ্যে নিজের কণ্ঠে ছুঁয়েছেন লাখো মানুষের হৃদয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভয়েস ওভার কাজ ভাইরাল হয়েছে একাধিকবার। অনেক তরুণ এখন তাকেই দেখেন অনুপ্রেরণা হিসেবে। যেখানে শব্দই সংলাপ, কণ্ঠই অস্ত্র—সেখানে ইরফান রহমান এক নিঃশব্দ বিপ্লবী। বাংলাদেশের মতো দেশেও বিশ্বমানের ভয়েস আর্টিস্ট তৈরি হচ্ছে, এবং ইরফান রহমান তার উজ্জ্বল উদাহরণ। সুযোগ পেলেই যে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলো ছড়াতে পারে—সেই বার্তাই যেন দিয়ে চলেছেন তিনি।

বাংলাদেশ জোড়ে

বরগুনার কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরায়ু অপসারণের সময় পেটে ৭ ইঞ্চি একটি কাঁচি রেখে সেলাই দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সাত...